মেয়েদের নিতম্ব স্লিম, সুন্দর ও সেক্সি করার উপায়
আমাদের দেহের ওজন যখন বৃদ্ধি পায় তখন স্বাভাবিক ভাবে আমাদের নিতম্বও ভারী হয়ে যায়। আর ভারী হয়ে গেলেই দেখা দেয় যত ঝামেলা। যে কোন জামা পরেন না কেন আপনি কোন ভাবেই দেখতে ভাল লাগেনা। ভারী নিতম্বে আমাদের দেহের সৌন্দর্য তো হারায়ই সাথে সাথে কোন জামা কাপড় পরেও সুন্দর লাগে না। জেনে রাখুন কীভাবে সুন্দর করবেন এই ভারী নিতম্ব।
বিভিন্ন উপায়ে নিতম্ব বড়, সুন্দর ও সেক্সি করা যায়। দেখে নেওয়া যাক সবচেয়ে কার্যকরী উপায়গুলো।
১. প্রাকৃতিক উপায়
প্রাকৃতিক উপায়ে নিতম্ব বড় করা সবচেয়ে নিরাপদ। এলোভেরা বেটে জেল তৈরি করতে হবে। এবার এলোভেরা জএল সমানিভাবে চারদিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। ৮-১০ মিনিট সপ্তাহে তিন বা চারদিন করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। ম্যাসাজ করার পর হালকা উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সাথে মধু ব্যভার করতে পারেন। অলিভ অয়এল দিয়ে ম্যাসাজ করলেও ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। হাতে অলিভ অয়েল নিয়ে দু হাতে ঘষলে তাও উতপন্ন হবে, এবার দুহাত দিয়ে দু নিতম্বে সমান ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে ৬-৭ মিনিট। সপ্তাহে চারদিন দেড় দু মাস নিয়মিত করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
২. ক্রিম জেল এর ব্যবহার
সাধারণত নিতম্ব বড়, টাইট, সুগঠিত, আকর্ষণীয় করতে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। তবে সবধরনের ক্রিম ব্যাবহার নিরাপদ ও কার্যকরী নয়। আপনাকে ক্রিম নির্বাচনের আগে খেয়াল রাখতে হবে ক্রিম বা জেল যেন অবশ্যই প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হয়। অনেক ক্রিমে মারকারির মত ক্ষতিকর উওয়াদান ব্যবহার করা হয় যা কিনা মারাত্নক ক্ষতি করে।
৩. হিপ আপ পাম্পের ব্যবহার
হিপ এনলার্জার পাম্প ব্যবহারে হিপ সাইজ বাড়ানো যায়, যা প্রায় পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত। হিপ পাম্প দুধরনের পাওয়া যায়। সাধারন পাম্প গুলোতে দুটো কাপ লাগানো থাকে, অনেকটা ব্রা এর মুত নিতম্বে লাগাতে হয়। এর পর টিউব চেপে চেপে পামু করা করা হয়। আর ব্যাটারি চালিত ডিজিটাল পাম্পিং এর ক্ষেত্রে নিজের হাত দিয়ে পাম্প করার প্রয়োজন হয়না, এতে শুধু দুটো কাপ থাকে, ব্রা এর মত পিছনে পরতে হয়। সুইচ চালু করলে কাপ আপনি আপনি ভাইব্রেট করবে।
৪. সার্জারি
সাধারণত আমাদ্এর দেশে সার্জারি সহজলভ্য নয়। থাইল্যান্ড, চায়না কিংবা সিংগাপুরে তুলনামূলক কম খরচে এনলার্জ সার্জারি ক্অরা যায়। এতে নিজ্জের ইচ্ছা অনুযায়ী সাইজ বাড়ানো সম্ভব। এতে তেমন কোন সুমস্যা হয়না। তবে খরচের বিবেচনায় এ পদ্ধতি অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য না হলেও এটি নিতম্বের পার্মানেন্ট ভাবে নিদ্রিষ্ট শেপ সাইজ দিয়ে থাকে।
৫. ব্যায়াম
মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে পরুন। হাত ২টো কাঁধ বরাবর ছড়িয়ে দিন। এবার হাঁটু ভাজ করে পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে হিপ তুলুন আর নামান এইভাবে ১০ বার এর পর হিপ তুলে ২০ গুনুন। এই পুরোটা ১০-১৫ বার করবেন।
উপুর হয়ে শুয়ে পরুন। ২ টো হাত মুখের থুতনির নিচে রাখুন। এবার ১টা করে পা হাটুঁ ভাজ করে পিছনের দিকে চাপ দিন দেখবেন হাঁটু যেন মাটি থেকে উঠে না যায়। একবার বাঁ পা আর একবার ডান পা এইভাবে ২০ বার। এবার এক সঙ্গে ২টো পা ২০ বার করুন। সামনের থেকে পিছনের দিকে বেশী চাপ দেবেন। এইভাবে পুরো সেট টা ৫-৬ বার করবেন।পা জোড়া করে সোজা হয়ে বসুন। ২টো হাত একসঙ্গে কাত হয়ে বাঁদিকে মাটি স্পর্শ করুন, এবার ডান দিকের মাটি স্পর্শ করুন। এইভাবে ২০ বার।
ঘরের কাজ
নিয়মিত যে কোনোভাবে শরীরচর্চা করলে অবশ্যই তার ফল পাওয়া যায়৷ আর তাই সুন্দর ফিগারের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয় না৷ স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে একটু সচেতনতা আর পাশাপশি কিছুটা হাঁটাহাটি বা বাড়ির কাজই করে দেবে যে কেউকে সুন্দর ফিগারের অধিকারী৷ ঘরের কাজগুলো যদি নিজেই নিয়ম করে ঠিকমতো করে ফেলা যায়, তাহলে কিন্তু দুটোই সম্ভব৷ অর্থাৎ বাড়ি-ঘর পরিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে তা একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকরও হলো, আবার শরীরও সুন্দর হলো৷ বিশেষ করে মেঝে বা সিঁড়ি মুছতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই পেটে প্রচণ্ড চাপ পড়ে, ফলে পেটের মেদ সহজেই কমে যায়৷ নিয়ম করে মেঝে মুছলে পেট মসৃণ হয় আর কোমরের আকারও হয় সুন্দর৷
লাইফস্ট্যাইল পরিবর্তন
যত যাই করুন না কেন, অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমাবেন ও বিশ্রাম নেবেন। বিশ্রামের অভাবে আমাদের শরীরের নানান জায়গায় বিচ্ছিরি মেদ জমতে থাকে। তবে বিশ্রাম নেয়া মানে দিনরাত বসে থাকা নয়, সেটাও খেয়াল রাখবেন। সেই সাথে পান করবেন প্রচুর পানি। মেদ কমাতে ও আকর্ষনীয় ফিগার করতে এর জুড়ি মেলা ভার। একই সাথে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কমিয়ে প্রোটিন বেশী খাওয়া শুরু করুন।
No comments:
Post a Comment